ভিসার ধরন এবং ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে ইতালির ভিসা খরচ নির্ভর করে। স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ সকল ধরনের ভিসার খরচ আলাদা আলাদা। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারিভাবে ভিসা তৈরি করছেন কিনা তার উপরেও ইতালি ভিসা খরচ নির্ভর করছে।
আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরনের দালাল বা এজেন্সির সাহায্য নিয়ে ভিসা তৈরি করে থাকেন। এক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের দালাল বা এজেন্সির কারণে ভিসা খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। অতএব ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ইতালি ভিসার খরচ ন্যূনতম ০৪ লক্ষ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা। এবং সর্বোচ্চ ইতালি ভিসা খরচ ০৮ লক্ষ থেকে থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
ইতালি ভিসা খরচ
সাধারণত ইতালির যাওয়ার জন্য দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। একটি শর্ট টার্ম ভিসা যেটাকে নন সিজনাল ভিসা বলা হয়ে থাকে। আর অন্যটি হচ্ছে লং টার্ম যেটাকে সিজনাল ভিসা বলা হয়।
অর্থাৎ আপনি যদি মাত্র দুই থেকে তিন মাসের জন্য ইতালি যেতে চান এক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ সহ যাবতীয় খরচ দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। আর লং টার্ম ভিসা অর্থাৎ দীর্ঘদিন থাকার জন্য যদি ইতালি যেতে চান।
এক্ষেত্রে ভিসা খরচ অনেক বেশি হবে। অর্থাৎ এই লং টার্ম ভিসাকে সিজনাল ভিসা বলা হয়। এই ভিসার মেয়াদ ০৯ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং এই ভিসার খরচ ০৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
আবার ইতালি ভিসা খরচ হিসেবে সাধারণ ফি নির্ধারিত হয় ৮০০০ থেকে ২০ হাজার টাকা। যেমন ভ্রমণ ভিসার খরচ ১২,০৭০ টাকা। ওয়ার্কার ভিসার খরচ ৯,০৭০ টাকা। ফ্যামিলি ভিসা খরচ ১৫,৬৭০ টাকা। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি ভিসার খরচ সব মিলিয়ে ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বর্তমান ২০২৪ সালে ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করে আপনার ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ এবং আপনার অবস্থানের উপর। যেমন দুই মাসের জন্য মৌসুমী ভিসা বা শর্ট টার্ম ভিসার খরচ ০৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ০৪ লক্ষ টাকা।
একইভাবে দীর্ঘমেয়াদি বা কাজের উদ্দেশ্যে ইতালি যেতে ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এবং দালাল বা এজেন্সি বেঁধে এই ইতালি যেতে ১০ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪
অনেক বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছেন যারা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের উদ্দেশ্যে ইতালির স্টুডেন্ট ভিসার অনুসন্ধান করে থাকেন। এবং এই ভিসার খরচ সম্পর্কে জানতে চান। সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত।
এবং ইতালির জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আনুমানিক খরচ ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা। পূর্বে ০৩ লক্ষ থেকে ০৪ লক্ষ টাকা ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ হতো। এবং বর্তমানে সর্বোচ্চ ০৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচের পার্থক্য হতে পারে।
ইতালি টুরিস্ট ভিসা খরচ ২০২৪
ইতালির টুরিস্ট ভিসা সাধারণত ৯০ দিনের কম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নন সিজনাল ভিসায় টুরিস্ট ভিসা হয়ে থাকে। অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইতালির টুরিস্ট ভিসার খরচ ০৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা।
ইতালি কৃষি ভিসা খরচ ২০২৪
ইতালির কৃষি ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবং বাংলাদেশের মানুষের মাঝে অনেকেরই কৃষি ভিসায় ইতালি যাওয়ার আগ্রহ রয়েছে। এগ্রিকালচার বা কৃষি ভিসার খরচ বর্তমানে সরকারিভাবে ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
আর আর বিভিন্ন ধরনের দালাল বা বেসরকারি এজেন্সির সাহায্য নিলে এই খরচ ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হবে। অর্থাৎ ইতালি কৃষি ভিসা কাজের ভিসার অন্তর্ভুক্ত। তাই এই ভিসার খরচ ১০ লক্ষ টাকার উপরে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ইতালি দেওয়া যায় আর পারমিট ভিসা। এছাড়া টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ইতালি দেওয়া যায়। ফ্যামিলি ভিসা এমনকি বিজনেস ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া যায়।
তো বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সর্বপ্রথম উপায় হচ্ছে বৈধ পাসপোর্ট থাকা। পরবর্তী কাজ হচ্ছে কোন কোম্পানি বা ফ্যামিলির মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার জন্য আবেদন করা। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ইতালি ভিসা খরচ নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই ইতালির যে কোনো ভিসা তৈরি করার পূর্বে খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিসা তৈরি করুন। এবং সরকারিভাবে ভিসা আবেদন করার চেষ্টা করুন। আর বেসরকারি হলে পরিচিত কারোর দ্বারা এজেন্সির সাহায্য নিন। ধন্যবাদ