বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোনভিৃত্তিক অর্থ স্থানান্তর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিকাশ। দ্রুত টাকা লেনদেন এবং বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন সুবিধা সহ বেশ কিছু সুবিধার কারণে বিকাশ বর্তমানে অনেকটা জনপ্রিয়।
প্রায় সকল সিমেই একজন বাংলাদেশী নাগরিক বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। যেমন নিজের ফোনের বিকাশ অ্যাপ থেকে বাংলালিংক, টেলিটক, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল ও রবি সহ প্রায় সকল সিমেই এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সিম্পল। হাতে থাকা স্মার্টফোনে bkash অ্যাপ ইন্সটল করে অথবা নিকটস্থ কোন কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে। তবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে অবশ্যই কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। সে ধাপগুলো নিচের আলোচনায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
Bkash একাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই একটি ফোন লাগবে। সেটা স্মার্ট ফোন অথবা বাটন ফোন হলেই চলবে। যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান এক্ষেত্রে অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ google প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করতে হবে।
আর যদি অ্যাপ ছাড়া বাটন ফোনের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান। এক্ষেত্রে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। তবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয় পত্র ও নিজের ছবি লাগবে।
বর্তমানে ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের জন্য অর্থাৎ স্টুডেন্ট একাউন্ট করার সুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট একাউন্ট করার জন্য জন্ম নিবন্ধন লাগবে।
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসেই নিজে নিজে মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। তবে অবশ্যই আপনার কাছে একটি স্মার্ট ফোন এবং তাকে পরিচয় পত্র থাকতে হবে। যে পদ্ধতিতে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
ধাপ ১: বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন
সর্বপ্রথম আপনার স্মার্ট ফোন দিয়ে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করুন।
ধাপ ২: অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
বিকাশ অ্যাপে গিয়ে লগইন/রেজিস্টার-এ অপশন এ ক্লিক করুন। তারপর আপনার মোবাইল নম্বরটি নির্বাচন করুন। অর্থাৎ যে নাম্বারে আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন।
ধাপ ৩: OTP যাচাই করুন
মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর আপনার সেই নির্ধারিত মোবাইল নাম্বারে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। অতএব সেই ওটিপি কোড সঠিকভাবে বসিয়ে দিন।
ধাপ ৪: সেবা নিয়ম ও শর্তাবলী গ্রহণ করুন
অতঃপর বিভিন্ন শর্তাবলি পড়ে সম্মতি দিয়ে পরবর্তী ধাপের জন্য এগিয়ে যান।
ধাপ ৫: আপনার একাউন্ট সক্রিয় করুন
তারপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনের এবং পিছনের ছবি বিকাশ অ্যাপের ক্যামেরা দিয়ে উঠাতে হবে। ছবি উঠানোর পর সামনে আসা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ( যেমনঃ নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর)চেক করুন এবং পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
তারপর বিকাশ এপ এ থাকা ক্যামেরা দিয়ে আপনার মুখের বা চেহারার ছবি তুলুন। ছবি উঠানোর সময় কয়েকটি পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।
অতএব ছবি উঠানো শেষ হলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে সামনের দিকে এগিয়ে যান। অতঃপর আপনার সকল তথ্য ভেরিফিকেশনের জন্য ৪৮ ঘন্টা বা ৭২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তারপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি কনফার্মেশন এসএমএস পান তাহলে পিন সেট করতে অ্যাপে এসে ‘পিন সেট করতে হবে। তারপর ৫ সংখ্যার পিন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। অতঃপর আপনার বিকাশ একাউন্টটি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে লগইন করে দেখুন।
অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
যদি বিকাশ অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান এক্ষেত্রে আপনাকে নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হতে হবে। সাথে মোবাইল, জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ছবি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
তবে অবশ্যই গ্রাহক সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি কে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিভিন্ন অনুমোদন দিতে হবে।
বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ। এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লে আশা করা যায় আপনাকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে কারো সাহায্য নিতে হবে না। তাই অন্য কারো দ্বারা বিকাশ একাউন্ট না তৈরি করে নিজে নিজে চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ